রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং
  • প্রচ্ছদ

  • বাংলাদেশ

  • রাজনীতি

  • বিশ্ব

  • বাণিজ্য

  • মতামত

  • খেলা

  • বিনোদন

  • চাকরি

  • জীবনযাপন

  • শিক্ষা

  • প্রযুক্তি

  • গ্যাজেটস

  • সড়ক দুর্ঘটনা

  • ধর্ম

  • আইন আদালত

  • জাতীয়

  • নারী

  • সশস্ত্র বাহিনী

  • গণমাধ্যম

  • কৃষি

  • সাহিত্য পাতা

  • মুক্তিযুদ্ধ

  • আইন শৃঙ্খলা

  • আইন শৃঙ্খলা

  • বাংলাদেশ

    বাকেরগঞ্জে নৌকার মনোনয়ন চায় বিদ্রোহী প্রার্থী শামসুল আলম চুন্নু, তৃনমূল নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ

    বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি থেকে
    প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং
          114
    ছবি: আওয়ামীলীগের সভাপতি শামসুল আলম চুন্নু
      Print News


    বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি:


    আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন চায় গত ২০০১ সালের নির্বাচনের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শামসুল আলম চুন্নু। তবে যারা দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নৌকার পরাজয়ের জন্য ষড়যন্ত্র ও প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছে তাদের নৌকার মনোনয়ন দেয়া হলে সিদ্ধান্ত মান্যকারী দলের নিবেদিত ও ত্যাগী নেতাদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয় আওয়ামীলীগসহ সকল অঙ্গ-সংগঠনের দায়িত্বশীল পদে থাকা একাধিক নেতা-কর্মী মত প্রকাশ করেছেন। ইতিপূর্বে বিগত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তি নির্বাচন করার আগ্রহ প্রকাশ করাকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি ইতিপূর্বে ঘোষণা দিয়েছিলেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যানরা কেউ সংসদ সদস্য প্রার্থী হতে পারবেন না। 


    জানা গেছে, ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পায় দানবীর ও সমাজসেবক মরহুম আলহাজ্ব সৈয়দ মাসুদ রেজা। কিন্তু এতে বিপত্তি ঘটিয়ে দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নৌকার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হয় উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি শামসুল আলম চুন্নু। স্বভাবতই বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর কাছে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজয় ঘটে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ মাসুদ রেজার। ওই নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী শামসুল আলম চুন্নু ঘড়ি প্রতিক নিয়ে মাত্র ১৯ হাজার ভোট পায়। যে কারনে চুন্নুকে কেউ কেউ দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা খন্দকারের প্রেতাত্তা বলেও অভিহিত করেন।


    ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ মাসুদ রেজার বিপক্ষে নির্বাচন করায় অল্প ভোটের ব্যবধানে তিনি হেরে যায়। যে কারনে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা মনে করেন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকার তলা ফুটাকারী হচ্ছেন বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম চুন্নু। তার মত একজন ব্যক্তিকে নৌকার দলিয় মনোনয়ন না দেয়ার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও পরিক্ষিত নেতা-কর্মীরা সভানেত্রী শেখ হাসিনার নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।


    বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা সভানেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত না মেনে নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছে তারা এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিক পেলে ত্যাগী নেতাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হবে বলে তৃনমূল আওয়ামীলীগ ও সহযোগী অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের মতামত।


    এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রের দাবি ‘যারা দলের সিদ্ধান্ত মেনেছে যারা জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের প্রতি আস্থা রেখেছে এবং নৌকা প্রতিক বিজয়ের জন্য কাজ করেছে নৌকার মনোনয়ন তাদের জন্যই প্রত্যাশা। আর যারা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে তাদেরকে নেত্রী কখনোই দলিয় মনোনয়ন দেবেন না বলে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রত্যাশা।


    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌর আওয়ামীলীগের এক যুগ্ম-সম্পাদক এ বিষয়ে বলেন ‘ আমরা চাই যারা দলের সিদ্ধান্ত মেনে চলে তাদেরকে নৌকার মনোনয়ন দেয়া হোক। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে তাদেরকে নৌকার মনোনয়ন দেয়া হলে দলের ভরডুবি ঘটবে বলে তার ধারণা।  


    চরাদি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম চুন্নু দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়ন দেবেন কিনা সেটা তিনি ভাল জানেন। সাম্প্রতিক সময়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় মনোনয়ন পেতে দলীয় অন্যান্য মনোনয়ন প্রত্যাশি প্রার্থীদের সমর্থকদের ঘায়েল করতে শামসুল আলম চুন্নু নোংরা রাজনীতির খেলায় মেতে উঠেছেন বলেও তিনি জানান। পাশাপাশি তিনি বিদ্রোহী প্রার্থীরা যাতে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন না পায় তার দাবী জানান।


    উপজেলা আওয়ালীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক অমল চন্দ্র দাস শিবু বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে শত ষড়যন্ত্রের মধ্যেও আমরা শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে তার নির্দেশে দলের সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দিয়ে বাকেরগঞ্জে মহাজোট প্রার্থীর লাঙ্গল মার্কার পক্ষে কাজ করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছি। তাই ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করেছে তাদের হাতে যেন নৌকা না যায় এমনই প্রত্যাশা করি।


    আওয়ামী লীগ সমর্থিত কলসকাঠী ইউপি চেয়ারম্যান ফয়সাল ওয়াহিদ মুন্না তালুকদার বলেন ‘ যাদের নীতি নৈতিকতা নাই তাদের হাতে যেন নৌকার মনোনয়ন না যায় তার দাবী জানাই। কারণ তারা দলে আসে নিজেদের স্বার্থে। তারা দলের স্বার্থে কাজ করেনা। বিদ্রোহীরা শুধু দলের সিদ্ধান্তই উপেক্ষা করেনি বরং তারা আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে যারা কাজ করেছে তাদের ওপর জুলুম নির্যাতন চালিয়ে তাদেরকে শোষন করেছে। এমনকি গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যে ব্যক্তি দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে তার বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছে সাম্প্রতিক সময়ে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি শামসুল আলম চুন্নুর সাথে বিভিন্ন কর্মকান্ড তাকেও দেখা যায় বলে তিনি জানান। 


    বাকেরগঞ্জ পৌর যুবলীগের ৫নং ওয়ার্ডের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার দাস বলেন, শুনতে পাচ্ছি ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শামসুল আলম চুন্নু ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবেন। এরকম সুবিধাবাদি নেতাদের নৌকা মার্কার মনোনয়ন পাওয়া কোনভাবেই কাম্য নয়।

    মুক্তির ৭১/নিউজ /রুবেল 

    আপনার মন্তব্য লিখুন
    Total Visitors : 709492

    সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ শাহিদ আজিজ 

            যোগাযোগ -০১৭৫৫৫১৬৯২১

            ইমেইল - info@muktir71news.com