এই বিভৎসতা ও নিষ্ঠুরতার শেষ কোথায়?


নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের স্বীকার মুক্তা রাণী বর্মন

০৩ মে ২০২৩ ইং
এস এম বাবু

এস এ বাবু:


 

মাত্র ১৬ বছর বয়সী ১০ম শ্রেনীর স্কুলছাত্রী মুক্তি রাণী বর্মন গতকাল মঙ্গলবার বিদ্যালয় ছুটির পর তার দুই বান্ধবীর সাথে বাড়ি যাচ্ছিল। 


এসময় একই গ্রামের কাউসার নামে এক বখাট  তার গতিরোধ করে অতর্কিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে মুক্তাকে। 


পরে স্থানীয়রা তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।


শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য  ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করার পথে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।


মুক্তি রাণী বর্মন নেত্রকোনা উপজেলার বাউশী ইউনিয়নের প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামের নিখিল বর্মনের মেয়ে। সে প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।


বখাটে কাওসার প্রায়ই মুক্তির ছোট বোনকে উত্যক্ত করতো। ছোটবোন উত্যক্তের ঘটনা বড় বোন মুক্তির কাছে জানিয়ে দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য সে পরিবারের সদস্য হিসেবে বড় বোন  মুক্তির ওপর এই আক্রমণ করে।   

সে একই গ্রামের শামছু মিয়ার ছেলে। কাউসার মুক্তি রানীকেও বিভিন্ন সময় ভয় ভীতি হুমকি এবং উত্ত্যক্ত করতো বলে দাবি করেছেন মুক্তির বোন। 


আমরা সমাজের এইসব কুলাঙ্গারদের দ্রুত গ্রেফতার ও কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।