শেকৃবিতে ছাত্রদলের পোস্টার ছেড়ার ঘটনায় মারার লিখিত হুমকি


ছাত্রদলের লাগানো পোস্টার

০৮ নভেম্বর ২০২৪ ইং
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:



শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ৭ নভেম্বর প্রোগ্রাম উপলক্ষে লাগানো পোষ্টার ছেড়া এবং ছেড়ার ঘটনায় বিভিন্ন হুমকির ঘটনা ঘটেছে।


বিশ্ববিদ্যালয়ে কাগজ-কলমে রাজনীতি নিষিদ্ধ হলেও প্রশাসনিক ভবন সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ৭ নভেম্বর প্রোগ্রাম উপলক্ষে পোষ্টারিং করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের শেকৃবি শাখা। পরবর্তীতে পোষ্টার ছেড়ার প্রতিক্রিয়ায় প্রতিক্রিয়া স্বরূপ পোস্টারের গায়ে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হুমকি দিয়ে লেখা প্রকাশ করেছেন ছাত্রদলের কর্মীরা। 



বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব সিরাজউদ্দৌলা হলে দেখা যায়, ৭ নভেম্বর বিএনপির 'জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস' উপলক্ষে টাঙানো পোষ্টারটি ছেড়া। ছেড়া পোষ্টার টেপ দিয়ে লাগিয়ে সেখানে হুমকি মূলক বক্তব্য লেখা। হুমকি তে ছাত্রদল কর্মী লিখেছেন, "একবার ছিড়ছিস, বারবার ছিড়... সমস্যা নাই। মাইর কিন্তু একবারই পড়বে। কে কোন দিক থেকে মারতেছে, বুঝতেই পার বিনা। " এছাড়াও লিখেছেন "শান্তি চাই সবাই, শান্তিতে থাকতে দে"



এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক) এ বিভিন্ন হুমকি দিয়েছেন ছাত্রদল কর্মী। ছাত্রদল কর্মী মো মোজাহিদুল ইসলাম তোহা লিখেছেন "ক্যাম্পাস কি তোর বাপের বে? যতটুকু ক্যাম্পাস তোর ততটুকু আমাদেরও। পোস্টার ছিড়িস কোন সাহসে?



পোস্টারের উপর লিখিত হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে শেকৃবি ছাত্রদল সভাপতি তাপস কবীর বলেন, কে পোস্টার ছিড়েছে, আবার কে তাতে কি লিখে দিয়েছে এ ব্যাপারে কিছুই জানি না৷ আমরা পরিকল্পনা করছি যেন এই ধরনের কার্যক্রম না ঘটে তবুও কিছু ক্ষেত্রে ঘটে যাচ্ছে জুনিয়র শিক্ষার্থীদের মাঝে আধিপত্য বিস্তার ও ফেসবুক পোস্ট দেয়ায় অভিযুক্ত মোজাহিদুল ইসলাম তোহা সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, এখন তো অনেক সাধারণ শিক্ষার্থীরা নতুন ছাত্রদলে যোগ দিচ্ছে, সবাইকে চেনা সম্ভব না৷ তবে যেহেতু সে ছেলে সম্পর্কে শুনলাম খোঁজ নিবো। কেও বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে তার জায়গা ছাত্রদলে হবে না৷



উল্লেখ্য, স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০১ এর ৪৫(৪) উপ-ধারা মোতাবেক সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সকল ধরনের রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিষিদ্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও সব ধরনের দলীয় ও লেজুড়বৃত্তিক রাজনৈতিক কর্মকান্ড (প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ) নিষিদ্ধ করা হয়। পাশাপাশি এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রযোজ্য বিধিমতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করার ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।




মুক্তির ৭১/নিউজ /আশরাফুল