হলের ডাইনিংয়ে বাকি শেকৃবির সেকশন অফিসার ও সাবেক ছাত্রলীগনেতা গৌতমের


শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এস্টেট শাখার সেকশন অফিসার গৌতম চন্দ্র রায়

৩০ অক্টোবর ২০২৪ ইং
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:



ছাত্রনেতা থাকা অবস্থায় বাকি খেয়ে তা এখনো পরিশোধ না করার অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এস্টেট শাখার সেকশন অফিসার গৌতম চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে। 



খোঁজ নিয়ে জানা যায় নেতা থাকা অবস্থায় প্রায়শই বাকি খেতেন হলের ডাইনিং ও দোকানগুলোতে। তার বাকির খাতা বিশ্লেষণ করে দেখা যায় ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব সিরাজউদ্দৌলা হলের ডাইনিংয়ে বাকি খেয়েছেন মোট  ২৩৮৫০ টাকা। তবে তা এখনো পরিশোধ করেননি। 



এ বিষয়ে গৌতম চন্দ্র রায় বলেন,হলের ডাইনিং এ আমি খুবই কম খেয়েছি। পলিটিক্সে এ যাওয়ার পর আমি ডাইনিং এ খাইনি বললেই চলে,সবসময় বাইরে খেয়েছি বা রুমে রান্না করে খেয়েছি। আমার বিরুদ্ধে সম্পুর্ণ মিথ্যা অভিযোগ এটি। এতো বেশি পরিমান বাকি থাকলে ডাইনিং ম্যানেজার অবশ্যই আমার সাথে যোগাযোগ করতো। এতো বাকি থাকার প্রশ্নই আসে না। দুই একদিন বাকি খেতে পারি কিন্তু এতো টাকার বাকি আমার কখনই ছিলো না। আমার রুমমেট, গেস্ট কেউ কখনই আমার নামে বাকি খায় নি।


ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের  বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাকি খাওয়া, চাঁদাবাজি একটি নিয়োমিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। বাকি না দেওয়া হলে দেওয়া হত হুমকি আবার বাকি খেয়ে তা পরিশোধ করতেন না দীর্ঘ সময়।ডাইনিং এ কর্মরত স্টাফদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গৌতম ডাইনিং স্টাফদের সাথে খুবই খারাপ ব্যবহার করতো। সে প্রায়ই বাকি খেত।


এর আগে হলটির ক্যান্টিনের বাকি সামনে আসলে তার পরিমান দাড়ায় প্রায় ১২ থেকে ১৩ লক্ষটাকা। যার অধিকাংশই ছিলো ছাত্রলীগ নেতাদের নামে।‌ তবে সেই বাকি সামনে আসার পর বাকি পরিশোধ করেছেন অনেকেই কিন্তু এখনো হলের ডাইনিংয়ের বাকি পরিশোধ করেননি এই সেকশন অফিসার।


এছাড়াও ২০২২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি এন্ড প্যারাসাইটলজি বিভাগের শিক্ষক ড. এমএ মান্নানকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ও রয়েছে এই সেকশন অফিসারের বিরুদ্ধে।




মুক্তির ৭১/নিউজ /আশরাফুল