কক্সবাজার বিমানবন্দরে রাত ১০টা পর্যন্ত বিমান উঠা নামা করবে


কক্সবাজার বিমানবন্দর

২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং
স্টাফ রিপোর্টার

স্টাফ রিপোর্টার 



ফ্লাইট উড্ডয়ন ও অবতরণের সময় বাড়ানো হচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দরে। বর্তমানে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই বিমানবন্দরে উড্ডয়ন ও অবতরণের শেষ সময়সীমা রয়েছে। এটি বাড়িয়ে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক), বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভুঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


তিনি বলেন, অতি সম্প্রতি আমাদের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিগগিরই যা কার্যকর করা হবে।


কক্সবাজার বিমানবন্দরের ম্যানেজার গোলাম মোর্তুজা হোসাইন বলেন, অক্টোবরের শেষে আমরা এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করবো। তিনি বলেন, আগামী শীতকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের সুবিধার জন্যই আমাদের এ নতুন ব্যবস্থা। অক্টোবরের শেষের দিক থেকে কার্যকর হয়ে এই সিডিউল চলতে থাকবে।


বেবিচকের এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের (এটিএম) প্রধান (সদস্য) এয়ার কমোডর জিয়াউল হক বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকতের গর্বিত মালিক কক্সবাজার। বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে ভ্রমণকারীদের কাছে কক্সবাজার ব্যাপক জনপ্রিয়। পর্যটকদের ভ্রমণ আরও সহজ করতে কক্সবাজার বিমানবন্দরের সময়সীমা বাড়িয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ পর্যটন শিল্পে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বেবিচকের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা আরও বলেন, দেশের পর্যটন শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। নতুন সময়সীমার কারণে ফ্লাইটের সংখ্যাও বাড়বে। বিদেশি পর্যটকদের জন্যও এটি একটি বিশেষ সুবিধা। কক্সবাজারের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আরও সহজ হয়ে উঠবে।


বেবিচক সূত্র বলছে, ওয়াচ আওয়ার বাড়ানো, উন্নত প্রযুক্তি স্থাপন এবং পর্যটন অঞ্চলের উন্নয়নে দেশের বিমান খাতকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে নিরলসভাবে কাজ করছে বেবিচক। এই পদক্ষেপগুলো শুধুমাত্র দেশের বিমান চলাচলের আয় বাড়তেই সহায়তা করবে না, বরং বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে সাহায্য করবে। সিভিল এভিয়েশনের পদক্ষেপগুলো বিমান চলাচলের কার্যক্রমকে আরও  নির্ভরযোগ্য করে তুলবে, যা দেশের অর্থনীতিকে দৃঢ় ভিত্তিতে দাঁড় করাবে।


বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের হেড অব অব সেলস অব মার্কেটিং আশরাফুল আলম বলেন, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এখন কোনও কোনও দিন ২টি আবার কোনেও দিন ৩টি ফ্লাইট অপারেট করছে। তিনি বলেন, আগামী শীতে এ ধরনের সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে আমাদের ফ্লাইট বাড়বে। ওই সময় প্যাসেঞ্জারের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ে। যেহেতু সময় আরও বাড়ছে আমরা ফ্লাইটের সংখ্যাও বাড়াবো। 


এদিকে বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস বাংলার জনসংযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘দিনে ৭/৮টি ফ্লাইট অপারেট করে ইউএস বাংলা। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যেই শেষ ফ্লাইট অপারেট করার বাধ্যবাধকতা থাকায় সমস্যায় পড়তে হয়। বেবিচকের এমন সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে। তিনি বলেন, সময়সীমা রাত ১০টা পর্যন্ত হলে আমাদের যাত্রী আরও বাড়বে। কেননা, অনেকে সকালে গিয়ে সারাদিন ঘোরাঘুরি শেষে আবারও ব্যাক করতে পারবে। নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য এটি একটি ভালো দিক।


নভোএয়ারের হেড অব সেলস এ্যান্ড মার্কেটিং মেসবাউল ইসলাম বলেন, বর্তমানে আমরা ৩/৪টি ফ্লাইট অপারেটর করছি। যেহেতু আগামীতে সময় বাড়ানো হচ্ছে, আমরা যারা এয়ারলাইন্স ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তারা যেমন উপকৃত হবে, তেমনই যাত্রীদেরও অনেক কাজে আসবে। 


মুক্তির ৭১/নিউজ /ওমর