নতুন উপাচার্যের কাছে শেকৃবি শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা


নতুন উপাচার্যের কাছে শেকৃবি শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা

২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং
বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা

বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা:


স্বৈরাচার পতনের পর সারা শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দ্বায়িত্বে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ। নুতন উপাচার্যের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের প্রত্যাশা তুলে ধরছেন মুক্তির ৭১ নিউজের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলাম।



'নতুন বিজয়ের নতুন শিক্ষার্থীবান্ধব উপাচার্য স্যারের কাছে নতুন কিছু করার চেয়ে পুরাতন কিছু বিষয়ে সংস্কারের অনুরোধ থাকবে। যেখানে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগে দূর্নীতির মূলোচ্ছেদ করে সৎ, দক্ষ, যোগ্য ও নেতৃত্বের গুণাবলি সম্পন্ন ব্যক্তিকে  নিয়োগ দিতে হবে। এছাড়াও গেস্ট রুম কালচার নামে অমানুষিক নির্যাতন, গ্রুপিং করে হলে সিট দখলের প্রতিযোগিতা, ক্যান্টিন, ডাইনিং এ বাকি খাওয়ার কালচার, হলের ছাদে বা রুমে দলবদ্ধ হয়ে মাদকদ্রব্য সেবন, নারী নিরাপত্তা প্রদানসহ লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির মূলোচ্ছেদ করা। বিসিএস থেকে মুখ ফিরিয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের জন্য মোটিভেশান সেল গঠন করা। একাডেমিক পড়ালেখার পাশাপাশি লুকিয়ে থাকা সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ সাধনে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। যেখানে সবাই একে অপরের ভাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ থাকবে এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় উপহার দিবেন এটাই প্রত্যাশা।'

ফরহাদ আলম

সাধারণ সম্পাদক,

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি।


নবনিযুক্ত ভিসি মহোদয় এর কাছে কিছু মৌলিক প্রত্যাশা থাকবে এই যে অবিলম্বে সকল ক্লাব যেনো তাদের নিজ নিজ ক্লাবরুম পায় এবং নিজস্ব কর্মসূচী বাস্তবায়না কখনো যেনো রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হতে না হয়। সাংস্কৃতিক সপ্তাহ ঘোষণার মাধ্যমে শেকৃবির দীর্ঘদিন ধরে চলা আসা সাংস্কৃতিক মনোভাব যেনো আবার জাগিয়ে তোলা যায় সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা। শেকৃবি বন্ধুসভা পরিবার থেকে অনুরোধ থাকবে আসন্ন শীতে ক্যাম্পাস জুড়ে 'পিঠা উৎসব' এর পুনরায় আয়োজন করা হোক।


নাবিয়া সুলতানা রিনি

সভাপতি, শেকৃবি বন্ধুসভা


জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশ পেয়েছে এক নতুন স্বাধীনতা ৷ সেই ধারায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ও পিছিয়ে নেই ৷ যে নতুনত্ব শেকৃবি পেয়েছে নতুন উপাচার্যের পদায়নে তা যেনো এ ক্যাম্পাসে পুনঃরায় প্রাণের সঞ্চার ঘটায় এ আশা সকল শিক্ষার্থীর ৷ একটি শিক্ষার্থী বান্ধব,যুগোপযোগী প্রশাসন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মানোন্নয়নে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করে ৷ একটি জাতির মানদন্ড নির্ধারণ করে তার সংস্কৃতি ও শিক্ষা পদ্ধতি ৷ শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে সমান তালে এগিয়ে নিতে এবং শিক্ষার্থীদের ভেতর সাংগঠনিক মনোভাব বিকাশ করতে সর্বাত্মক সহযোগীতা ও উৎসাহ আমাদের সকলের চাওয়া ৷ এজন্য ছাত্র, শিক্ষক ও প্রশাসনের ভেতর অবাধ যোগাযোগ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব অতীব জরুরী ৷ নতুনত্বের মাধ্যমে শেকৃবি উন্নতির উচ্চশিখরে পদার্পণ করবে এই আশা ব্যক্ত করছি ৷

নিলয় রায়হান,

সভাপতি, শেকৃবি কিষাণ থিয়েটার। 


যখন একটি প্রক্রিয়ায় অনিয়ম দীর্ঘ সময় ধরে হয়ে আসে, সেখানে নিয়ম তান্ত্রিক কাজগুলো করাই দুরুহ হয়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সর্বোচ্চ প্রাপ্তি অনেকের কাছে অনেক রকম হতে পারে, তবে গবেষণায় অগ্রগতি কোনো তালিকা থেকেই বাদ পড়বেনা। গবেষণা যেন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নামমাত্র দায়মুক্তি না হয়। কার্যকরী, অগ্রগামী ও টেকসই কৃষি গবেষণার জন্যে শেকৃবি তে ব্যাপক কাঠামোগত ও পদ্ধতিগত পরিবর্তন প্রয়োজন। পরিবর্তন প্রয়োজন চিন্তাজগতের, নিয়তের। দরকার প্রশিক্ষণ এর। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে সামগ্রিক অগ্রগতি কে সামনে রেখে অনতিবিলম্বে এই পরিবর্তন দেখতে চাই।


সওবান চৌধুরী

সাধারণ সম্পাদক, শেকৃবি ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব।



মুক্তির ৭১/নিউজ /আশরাফুল