ছবি তুলেই কুয়াকাটার হোটেল সান মেরিনার মালিকানা দাবি আবেদ আলীর


ছবি তুলেই কুয়াকাটার হোটেল সান মেরিনার মালিকানা দাবি আবেদ আলীর

১০ জুলাই ২০২৪ ইং
কলাপাড়া প্রতিনিধি


 কলাপাড়া প্রতিনিধি:



প্রশ্ন ফাঁসে অভিযুক্ত পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক আবেদ আলীকে নিয়ে উত্তাল নেট দুনিয়া। এরই মধ্যে সম্প্রতি সময়ে আলোচিত আবেদ আলীর এক ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। 


দক্ষিণের সাগরকন্যাখ্যাত পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় নির্মাণাধীন একটি আবাসিক হোটেলের মালিকানা দাবি নিয়ে আবেদ আলী তার নিজের ফেসবুক আইডিতে সম্প্রতি একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। যা নিয়েই এখন চলছে অনুসন্ধান। তবে ‘হোটেল সান মেরিনা’র নির্মাণ কাজ এখনো পুরোদমে শুরু হয়নি। 


সোমবার দুপুর থেকে এ হোটেলটির মালিকানা নিয়ে কৌতূহলী মানুষের আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া গোটা দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সরগরম হয়ে উঠেছে।


সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবেদ আলী মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার বাসীন্দা তিনি। তার বাবার নাম আবদুর রহমান মীর। ডাসার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার জন্য তিনি এরইমধ্যে এলাকায় পোস্টার-ব্যানার সাঁটিয়েছেন।


গত ১৮ মে আবেদ আলী তার ফেসবুক পেজে কুয়াকাটার হোটেল সান-মেরিনা নিয়ে স্ট্যাটাস দেন। তবে গত দুদিন ধরে এ বিষয়টি কলাপাড়া-কুয়াকাটাসহ উপকূলের মানুষের চোখে পড়ে। সান মেরিনা হোটেল নিয়ে আবেদ আলী তার ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘আমাদের নতুন হোটেল এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলাম আজ। সমুদ্রকন্যার পাড়ে আজীবন নিজের জন্য একটা থাকার ব্যবস্থা ও একই সঙ্গে একটা হোটেলের মালিকানা অর্জন করতে আপনিও শেয়ার কিনতে পারেন।’


তবে এই নামকরণের হোটেলটির কার্যক্রম ততটা বেগবান নয়। অধিকাংশ জায়গা খালি পড়ে আছে। কেবল সামনের অংশে টিনশেড দিয়ে ৭-৮ টি স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে । এ ছাড়া হোটেলটি কোন ডিজাইনে নির্মিত হবে তার ছবি দিয়ে একটি সাইনবোর্ড সাঁটানো রয়েছে হোটেলের নির্ধারিত জায়গায়।


এদিকে ২০১০ সালে আবাসিক হোটেল নির্মাণ করার জন্য কুয়াকাটা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাঞ্জুপাড়ায় ৪০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন এ হোটেলের মূল মালিক দাবিদার মো. মোশারফ হোসেন সে  হোটেলটির মালিক মো. মোশারফ হোসেন। তিনি লিবার্টি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এ গ্রুপ পিডিবি (পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড), পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি), রুরাল ইলেট্রিফিকেশন বোর্ড (আরইবি), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) ঠিকাদার হিসেবে সাবস্টেশন ও ট্রান্সমিশন লাইনের নিয়মিত কাজ করে থাকে।


সান মেরিনা হোটেলে কর্মরত মো. ফারুক হোসেন বলেন, ৮ বছর যাবৎ এখানে চাকরি করছি। সৈয়দ আবেদ আলী নামে কাউকে দেখিনি। তবে তিনি কয়েকমাস আগে এখানে এসে হোটেলের শেয়ার নেয়ার জন্য আলোচনা করেছিলেন। তখন একটা ছবি তুলতে দেখছি আমাদের হোটেলের বিজ্ঞাপনের সঙ্গে।


সান মেরিনা হোটেলের মালিক মোশারফ হোসেন বলেন, গত দুই-তিন মাস আগে সৈয়দ আবেদ আলী আমার হোটেলটির সামনে অপর একটি হোটেলে এসে উঠেন। পরদিন সকালে আমার হোটেলের জায়গায় গিয়ে শেয়ার ক্রয় করবেন বলে জানান। তখন তিনি আমার লোকের কাছ থেকে শেয়ার ক্রয়ের বিস্তারিত জেনে যান। এ পর্যন্তই, আসলে আমি কখনো তাকে দেখিনি এবং চিনিও না।


তিনি আরো বলেন, আবেদ আলীকে একজন টাউট প্রকৃতির লোক বলে মনে হয়েছে। এ জন্য ঢাকার গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হবে। 


মুক্তির ৭১/নিউজ /রাসেল