বাগমারা তোপের মুখে বিক্ষোভ মিছিল বন্ধ


বিক্ষোভ মিছিলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

৩০ জুন ২০২৪ ইং
বাগমারা প্রতিনিধি



বাগমারা প্রতিনিধি:



রাজশাহীর বাঘায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল গুরুতর আহত হয়।পরে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যান তিনি।বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বাঘা মডেল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার নামাজের আগে জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন রাৈিজনক সংগঠনের পক্ষ থেকে মরহুমকে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।মরহুমের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে যান রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বাগমারা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার।সেখানে তাকে লাঞ্ছিত করা হয়। এছাড়া বাবুল হত্যা কান্ডের সাথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন সহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পবা-মোহনপুর আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদের সরাসরি ইন্ধন আছে বলে বক্তব্য প্রদান করেন বাঘা-চারঘাটের সংসদ সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।এদিকে কেন্দ্রীয় নেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, এমপি আসাদুজ্জামান আসাদ এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার এবং রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকারকে লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। শনিবার এ উপলক্ষ্যে ভবানীগঞ্জ নিউ মার্কেটের প্রধান ফটকে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে একের পর হামলা ঘটনা ঘটেছে।বাগমারা আসনের এমপি আবুল কালাম আজাদের অনুসারীরা উক্ত সমাবেশকে পন্ড করতে এই হামলা চালায়।এ সময় বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকার সহ সঙ্গীয় ফোর্স এমপির অনুসারীদের বাধা দিলেও কোন লাভ হয়নি। তারা পুলিশের বাধা ভেঙ্গে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের ব্যানার টেনে কেড়ে নেয়।উক্ত ব্যানারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,সজিব ওয়াজেদ জয় এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন সহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পবা-মোহনপুর আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকারের ছবি ছিল।এমপি আবুল কালাম আজাদের অনুসারী প্রায় ২৫-৩০ জন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের উপর হামলা করে। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল মালেক মন্ডল সহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে। সেই সাথে কিলঘুষি মারে।শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল মালেক মন্ডল,দপ্তর সম্পাদক নূরুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ আক্তার বেবী, শুভডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাহার আলী,জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেজানুর রহমান সেজান, উপজেলা যুব লীগের নেতা সাইদুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন আলী, ইউপি সদস্য সুকমল,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি নাইম ইসলাম সহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল মালেক মন্ডল বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করছিলাম এ সময় এমপি আবুল কালাম আজাদের ক্যাডার বাহিনীর সদস্যরা আমাদের উপর হামলা করে।এ সময় তারা আমাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিতের পাশাপাশি পাঞ্জাবী ছিঁড়ে ফেলেছে।সেই সাথে প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেয়া বেক কয়েকজন নেতাকর্মীকে মারপিট করেছে।যার ভিডিও ফুটেজ আছে। আমরা এই সন্ত্রাসী এমপি আবুল কালাম আজাদের ক্যাডারদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি। তারা পুলিশের বাধা ভেঙ্গে আমাদের উপর হামলা চালাই।একবার না দফায় দফায় হামলা করে । 


মুক্তির ৭১/ নিউজ/সমিত