শাল্লায় জমিদারী কায়দায় আদায় করছে দোকান ভাড়া, লক্ষ লক্ষ টাকা সরকারী রাজস্ব ব্যহত


শাল্লায় জমিদারী কায়দায় আদায় করছে দোকান ভাড়া, লক্ষ লক্ষ টাকা সরকারী রাজস্ব ব্যহত

০৯ জুন ২০২৪ ইং
শাল্লা প্রতিনিধি



শাল্লা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:


গত বেশ কয়েক বছরের কুশিয়ারার প্রবল ভাঙ্গণে বিলিন হয়ে যায় সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার প্রতাপপুর বাজারটি। পরেই বাজারের ব্যবসায়ীদের পড়তে হয় বিপাকে। এই সুযোগে প্রতাপপুর গ্রামের চতুর ব্যক্তি ফুলচাঁন দাস, নিত্যানন্দ দাস নিতাই, প্রভাংশু দাস ও রবীন্দ্র দাস বিনা অনুমতিতে সরকারী জমিতে দোকান কোটা তৈরী করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করছেন আট বছর

ধরে। সরকারী জায়গা হতে ভাড়া আদায় করলেও সরকারকে দেয়া হচ্ছেনা কোনোরূপ সালামী। জানা যায়, ফুলচাঁন দাস ১১টি, নিত্যানন্দ দাস নিতাই ৩টি, প্রভাংশু

দাস ১টি ও রবীন্দ্র দাস ৪টি দোকান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ভাড়া আদায় করছেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে প্রশাসন নিবর থাকার ভ‚মিকাটি জনমনে সৃষ্টি করেছে নানা প্রশ্ন।

সরজমিনে প্রতাপপুর বাজারের মুদিমাল ব্যবসায়ী কিশোর দাসের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি পাঁচ বছর ধরে এ দোকানে ব্যবসা করছি। ফুলচাঁন দাসকে প্রতিমাসে দুই হাজার টাকা দোকান ভাড়া দিয়ে আসছি এবং ত্রিশ হাজার টাকা জামানত হিসেবে অগ্রিমও দিয়েছি। ফার্মেসী ব্যবসায়ী ক্ষিতিন্দ্র দাস জানান তিনিও নিত্যানন্দ দাস নিতাইকে মাসিক ভাড়া দিয়েই ব্যবসা করছেন। মুদিমাল ব্যবসায়ী প্রসেনজিৎ দাস বলেন, তিনিও ফুলচাঁন দাসকে মাসিক ভাড়া দিয়েই ব্যবসা করে আসছেন। আবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ব্যবসায়ী জানান, প্রতাপপুর বাজারটি সরকারী ভাবে পেরীপেরি না হওয়ায় অনেকটা বাধ্য হয়েই ওইসব লোকদের মাসিক ভাড়া দিয়েই তাদের ব্যবসা করতে হচ্ছে।

ওই বাজারের মেশিনারী পার্স ব্যবসায়ী রানু চন্দ্র দাস তার ব্যবসা পরিচালনার বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলায় অবৈধ দখলদার প্রভাংশু দাস ব্যবসায়ী রানুকে একদিনের মধ্যে দোকানের মালামাল সরাতে হুমকি প্রদর্শন করে

বলে জানিয়েছেন পার্স ব্যবসায়ী রানু চন্দ্র দাস।

তবে প্রভাংশু দাস হুমকি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ঠিকই বলেছেন। আমি সরকারী জায়গায়ই দোকান করেছি। তাই ভাড়া নিচ্ছি।

এসব বিষয়ে অবৈধ দখলদার ফুলচাঁন দাসের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি ঢাকায় একজন রোগী নিয়ে ব্যস্ত আছি। সপ্তাহ কানেক পরে এসে আপনার সাথে দেখা করবো। তবে প্রতাপপুর বাজারের সরকারী জমিতে আপনার ১১টি দোকান ঘর থাকার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা সরকারী জমি না, তার ব্যক্তিমালিকানা জমিতে দোকান কোটা তৈরী করেছেন বলে জানান তিনি।

এব্যাপারে নিত্যানন্দ দাস নিতাইয়ের সাথে কথা বলতে তার মুঠোফোনে বার বার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলা উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখেবেন বলে জানিয়েছেন সহকারী কমিশনার মোঃ আলা উদ্দিন।

মুক্তির ৭১/নিউজ /শাল্লা