বাগমারা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারায় কাঁচা সরিষা ক্ষেত কেটে নষ্টের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি উপজেলার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে। ঘটনা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ জানুয়ারি রাতে গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের হড়ম বিলে প্রায় ১ বিঘা জমির সরিষা কেটে নষ্ট করে দুষ্কৃতকারীরা।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক হলেন হরিপুর গ্রামের কাশেম প্রামানিকের ছেলে মাহাবুর রহমান।
জমিজমা ও পারিবারিক বিরোধের জেরধরে সরিষা ফসলের সাথে এমন নিষ্ঠুরতার বলে সূত্র জানায়।
ক্ষতিগ্রস্থ মাহাবুরের পুত্র কলেজ শিক্ষার্থী ইমন জানায়, আগের দিন বড় আব্বু জেকের আলী আমাদের নানা ভাবে শাসন, গর্জন, হুমকি-ধামকি প্রদান করেন। রাতে সরিষা ক্ষেত কেটে নষ্ট করা হয়। তার বড় আব্বু জেকের আলী এ কাজ করেছেন বলে দাবী করেন তিনি।
অভিযুক্ত জেকের আলীর বাবা কাশেম প্রামানিক সংবাদকর্মীদের নিকট অভিযোগ করেন, এর পূর্বে তার ছেলে জেকের আলী জবর দখল করে দুই বিঘা জমির সরিষা সম্পূর্ণ আত্মসাৎ করেছেন।
মাকে মারধর করেছেন। শত্রুতা করে পিটিয়ে ছাগল হত্যা করেছে।
প্রতিকার চেয়ে চেয়ারম্যানের নিকট বিচার দিয়েও নানা কারণে বিচার পাননি। তিনি আরও জানিয়েছেন, ছেলে জেকের আলীর ভয়ে গ্রাম্য মাতবর এবং প্রতিবেশীরা মুখ খুলেন না।
লাঠিতে ভর করে বৃদ্ধ মা সরিষা ক্ষেতে এসে সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে ছেলে জেকের আলীর শাস্তি দাবী করেন। আফসোস ও আবেগ আপ্লূত হয়ে পড়েন।
এ ধরনের নিষ্ঠুরতায় সাধারণ কৃষকদের মাঝে ভীতির সৃষ্টি হয়েছে।
মুঠোফোনে অভিযুক্ত জেকের আলী বলেন, এ সমন্ধে আমি কিছু জানি না। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়। দুই বিঘা জমির সরিষা আত্মসাৎ সমন্ধে বলেন, সরিষার আদি ভাগ নিয়েছি মাত্র।
হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই রতন জানান, কিছু অংশ সরিষার ক্ষেত কেটে ফেলা হয়েছে।
হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ওসি (তদন্ত) মোয়াজ্জেম হোসেন এ বিষয়ে অবগত নন।
বাগমারা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আমাকে অবগত করেছেন। বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
নুক্তির ৭১/ নিউজ/ সমিত