৪০ কেজিতে ধানের মন নির্ধারণে কৃষকদের বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারক লিপি পেশ


৪০ কেজিতে ধানের মন নির্ধারণে কৃষকদের বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারক লিপি পেশ

১২ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং
রাসেল মোল্লা


রাসেল মোল্লা:



পটুয়াখালীর কলাপাড়ায়  ৪০ কেজিতে মন ও ধানের লাভ জনক দাম নির্ধারণ সহ নানা দাবিতে সমাবেশ-বিক্ষোভ মিছিল শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারক লিপি পেশ করেছেন কৃষকরা। মঙ্গলবার (১২ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টায় বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কলাপাড়া উপজেলা শাখার আয়োজনে শহীদ সুরেন্দ্র মোহন চৌধুরী সড়কে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কলাপাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি জিএম মাহবুবুর রহমান। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি খেপুপাড়া শাখার সম্পাদক এবং বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কলাপাড়া উপজেলা শাখা সদস্য কমরেড নাসির তালুকদার, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি কলাপাড়া উপজেলা শাখার আহ্বায়ক মোঃ রফিকুল ইসলাম,বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কলাপাড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আতাজুল ইসলাম,বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কলাপাড়া উপজেলা শাখার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নয়ানাভিরাম গাইন (নয়ন) প্রমুখ।

বক্তারা দাবি করেন, আন্তর্জাতিক মাপ ৪০ কেজিতে মন নির্ধারন করে ধান ক্রয়, ধানের লাভজনক দাম নির্ধারণ, ধানের হাট-বাজারগুলো ইজারা মুক্ত করা সহ নানা দাবি তুলে ধরেন। তারা জানান, আন্তর্জাতিক মাপ ৪০ কেজিতে মণ হিসেবে অন্যান্য সকল পন্য ক্রয় বিক্রয় করার হলেও কলাপাড়া উপজেলার সর্বত্র কৃষকদের ঠকিয়ে ৪৮ কেজিতে মন হিসেবে ধান কিনছে ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ আলু, পিয়াজ, তরকারি, চাল, ডাল, তেল, লবন, মাছসহ সমস্ত পন্য ৪০ কেজিতে ক্রয়-বিক্রয় হলেও শুধু ধান কেনার সময় ৪৮/৪৯ কেজি হিসেবে।

বক্তারা আরও বলেন, কৃষকদের প্রতি কেজি ধান উৎপাদন করতে খরচ হয় ৩১ টাকা। সিন্ডিকেটের কারনে সেই ধান তারা ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে বাধ্য হন। এতে কৃষকদের প্রতি কেজিতে ১১ টাকা লোকসান হয়। এর ফলে বহু কৃষক কৃিষ পেশা ছেড়ে অন্য পেশা বেছে নিয়েছেন। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় আর কৃষক খুঁজে পাওয়া যাবে না। সরকার ধানের দাম ১২শ’ টাকা নির্ধারণ করলেও তা গোডাউনে বিক্রি করার মত সুযোগ তারা পাচ্ছেন না।

তারা সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে পৌরশহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারক লিপি পেশ করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর হোসেন স্মারক লিপিটি গ্রহন করে তাৎক্ষনিক মাইক প্রচারের মাধ্যমে উপজেলার সকল ব্যাবসায়ীদের ৪০ কেজিতে ধানের মন নির্ধারণ করে ক্রয় করার নির্দেশ প্রদান করেন। নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও তিনি উল্লেখ করেনে।

উল্লেখ্য, মাইক প্রচারের পরপরই মঙ্গল বারের সাপ্তাহিক ধানের হাটে ৪০ কেজিতে মন হিসেবে ধান বেচা-কেনা হচ্ছে।