ঠাকুরগাঁওয়ে ওরাঁও সম্প্রদায়ের সামাজিক উৎসব কারাম পূজা অনুষ্ঠিত


ঠাকুরগাঁওয়ে ওরাঁও সম্প্রদায়ের সামাজিক উৎসব কারাম পূজা অনুষ্ঠিত

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং
স্টাফ রিপোর্টার


স্টাফ রিপোর্টার:


ঠাকুরগাঁওে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, জেলা পরিষদ, সদর উপজেলা প্রশাসন, কারাম পূজা উদযাপন কমিটি ও ইএসডিও’র প্রেমদীপ প্রকল্পের আয়োজনে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের পাঁচপীরডাঙ্গা গ্রামে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ওরাঁও সম্প্রদায়ের সামাজিক উৎসব কারাম পূজা শুরু হয়।


ওই সম্প্রদায়ের পরিবারের সুখ-শান্তির জন্য ও নিজেদের সুস্থতা কামনায়  “কারাম” নামের একটি বিশেষ বৃক্ষের বন্দনার মধ্য দিয়ে ওরাঁও সম্প্রদায়ের লোকজন এই উৎসব পালন করেন।


জেলা কারাম পূজা উদযাপন কমিটির পক্ষে আদিবাসী নেতা যাকোব খালকোর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রামকৃষ্ণ বর্মণ, গেস্ট অব অনার হিসাবে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হিসাব ও অর্থ) লিজা বেগম। বিশেষ অতিথি'র বক্তব্য দেন ঠাকুরগাঁও সিনিয়র সহকারী জজ ও জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার এস এম শফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি অ্যাড. অরুনাংশু দত্ত টিটো, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.বেলায়েত হোসেন, প্রেসক্লা সভাপতি মনসুর আলী, জেলা পরিষদ সদস্য দেবাশীষ দত্ত সমীর, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফিরোজ কবির, ইউপি চেয়ারম্যান ফজলে এলাহী মুকুট চৌধুরী প্রমুখ।


অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদ জেলা শাখার উপদেষ্টা ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ইমরান হোসেন চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মো. শাহিন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ব্যক্তিবর্গ আদিবাসী বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষজন উপস্থিত ছিলেন।


প্রসঙ্গত: প্রতিবছর ভাদ্রের শেষে এবং আশ্বিনের শুরুতে ওরাঁও জনগোষ্ঠী এই উৎসব আয়োজন করে। এই উৎসবে গাছ দেবতা যেন সামনের বছরে ভালো ফসল দেন সে প্রার্থনা করা হয়। এই গাছকে ঘিরে চলে আরাধনা ও গান। 


সব বয়সের আদিবাসী শিশু, কিশোর বৃদ্ধা, যুবক-যুবতীরা সবাই এই গানের সাথে সুরে সুর মিলিয়ে গাছ দেবতার প্রার্থনায় মেতে উঠেন। গাছ দেবতার সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য ধান, সর্ষেদানা, কলাই, গম প্রভৃতি ফসলের বীজ এই কারাম গাছের গোড়ায় রাখা হয়। যেন গাছ দেবতা সামনের বছর ভাল ফলন দেন। সে প্রার্থনা করে রাতভর চলে এই সম্প্রদায়ের নৃত্যগীত ও হাড়িয়া পান। জেলার বিভিন্ন এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মালম্বীরাও এ উৎসবে যোগ দেন।


মুক্তির ৭১ / নিউজ/ হু. কবির