পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক


পাট নিয়ে বিপাকে কৃষক

১৬ অগাস্ট ২০২৩ ইং
মান্দা প্রতিনিধি

মান্দা প্রতিনিধি:


পাট কেটে জাগ (পচানো) দেওয়া শুরু হয় জুলাই মাস থেকে। কিন্তু এবার তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় খাল-বিলে পানি নেই। অনেকে ডোবা-নালায় সেচ দিয়ে পাট জাগ দিয়েছেন। এভাবে পাট ভালোভাবে পচেনি। এতে পাটের ভালো দাম না পাওয়ার শঙ্কায় মান্দা উপজেলার কৃষকরা।


উপজেলার কালিকাপুর এলাকার অধিকাংশ কৃষক পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। তাদের একজন আইজল সরকার । তিনি প্রায় আড়াই বিঘা জমিতে পাট আবাদ করেছেন। যদিও বিগত বছরে আবাদ করতেন তার চেয়েও বেশি। পাট জাগ দেওয়ার জায়গার অভাবসহ নানান কারণে এখন আবাদ কমিয়ে দিয়েছেন।

জেলার বিভিন্ন এলাকার পাট চাষিরা এবার পানির অভাবে পাট নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। যারা আগেভাগে পাট কেটেছেন, তারা জাগ দিতে পারেননি। অনেকেই কষ্ট করে খালে পানি ভরাট করে জাগ দিলেও পাট পচেনি। ফলে সঠিকভাবে উৎপাদন হয়নি। আবার পাট বেশিদিন রেখে দিলেও সেই জমিতে আমন চারা রোপণ করতে পারবেন না। এমন উভয় সংকটের মধ্যেই পড়েছেন কৃষকরা।


পানির অভাবে জাগ দিতে না পারায় শুকিয়ে ফেলেছে পাটগাছ



আমজাদ হোসেন আমু বলেন, ‘জাগ দেওয়ার সমস্যায় এই এলাকায় পাটের আবাদ কমে গেছে। এবারে যারা পাট আবাদ করেছে তাদের আক্কেল হয়ে গেছে। পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারেনি। কষ্ট করে যারা জাগ দিয়েছে তারাও ভালোভাবে আঁশ ছাড়াতে পারেনি। অনেকেই পাট কাটার পর জাগ দেওয়ার পানির অভাবে শুকিয়ে ফেলেছে।’


জুলাই মাসে যারা পাট কেটেছেন, তাদের বেশি সমস্যায় পড়তে হয়েছে। জাগ দিতে না পেরে অনেকেই নষ্ট করে ফেলেছেন। আবার যারা জাগ দিয়েছেন তাদের সেচ দিতে পানি ভরাট করতে হয়েছে। ফলে উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে।’


‘আগেভাগেই পাট কেটে ফেলতে হয়। কারণ পাট কাটার পর ওই জমি তৈরি করে আমন ধান রোপণ করতে হয়। ফলে চাইলেও আমরা জমিতে বেশিদিন পাট রেখে দিতে পারি না। এবারে তো মহাবিপদ হয়ে গিয়েছিল। জাগ দিতে না পারায় আঁশ কম হয়েছে। ফলে উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে।’

মুক্তির ৭১/নিউজ /মহসিন