ঢাকা প্রতিনিধি:
ঢাকার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
আজ রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রধান ফটকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। ভাঙচুরে অংশ নিয়েছেন ডক্টর মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরাসহ অন্তত ২০টি কলেজের ছাত্ররা।
এ সময় ধাওয়া-পালটা ধাওয়ায় দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এর জেরে সোহরাওয়ার্দী কলেজে সাত কলেজের চলমান অনার্স পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। পরে পরীক্ষার কার্যক্রম স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, রাজধানীর ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় মারা গেছেন ডক্টর মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) ছাত্র অভিজিৎ। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানাতে আসলে হামলা চালান নজরুল সরকারি কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এর জেরে ২০টির বেশি কলেজের শিক্ষার্থীরা একজোটে সুপার সানডে কর্মসূচি পালন করেন।
জানা গেছে, অভিজিত হাওলাদার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তির দুইদিন পর ১৮ নভেম্বর মারা যান। অভিজিতের প্লাটিলেট কমে গেলে পরিবার তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিতে চায়। এতে বাধা দেয় ঢাকার ন্যাশনাল মেডিক্যাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মৃত্যুর পর টাকা দাবি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাশ আটকে রাখেন বলে অভিযোগ উঠেছিলো।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দুপুরে পূর্বঘোষিত 'সুপার সানডে' কর্মসূচির অংশ হিসেবে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সামনে জড়ো হন প্রায় বিশটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের মেইন গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালান। এরপর বেলা সোয়া একটা দিকে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের গেট ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালানো হয়।
সোহরাওয়ার্দী কলেজের ভাইস-প্রিন্সিপাল ড. ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, কাল ওই কলেজের প্রিন্সিপাল ও আমাদের প্রিন্সিপাল একটা সমঝোতায় এসেছিলেন। আমরা আশ্বস্ত ছিলাম যে এমন কিছু হবে না। কিন্ত তারপরও হামলা হলো। পুরো কলেজে হামলা চালিয়েছে। আমার রুম পর্যন্ত ভেঙে ফেলেছে।
মুক্তির ৭১/নিউজ /শরিফুল