শিরীনা ইয়াসমিন:
গঙ্গা তুই বুক ছাপিয়ে ভাসাস কেন ভাটির দেশ? দেখে নাই বাংলা কখনো জলের এই ভয়াল বেশ?
তৃষ্ণায় যখন বুক ফাটে বন্ধ রাখিস লোহার দোর
কেমন করে বাঁচবে বাংলা এত হিংসা কেন তোর?
বুকে দিছে লোহার আগল ভেঙে মুক্ত কর
বয়ে যাব আপন গতিতে বাংলা ভাটিতে তোর।
ভাটির দেশে এসে যখন বাঁধি জলের বেণি
ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ খেলে যায় দোলে নৌকা খানি
আউলা চুলে ভাটির কন্যা জল ভরিতে আসে
কদম ডালে বাঁশি হাতে কৃষ্ণ মিটিমিটি হাসে
উজান দেশের পোলা পড়ে ভাটির কন্যার প্রেমে
অশ্বত্থে সাধু তখন মগ্ন হয় গভীর ধ্যানে।
জলে জলে কানাকানি পাখির গানে গুঞ্জন শুনি
ভাটির কন্যা আসব কবে বসে বসে সময় গুনি।
প্রেমের টানে ভাটির কন্যা উজান দেশে যায়
ঘরে বউ দেখে কন্যা ভীষণ ঘাবড়ে যায়।
বাপে মায়ে কান্দে বসে কেমনে হবে দেখা
ভাটির কন্যা চলে গিয়ে রাইখা গেছে একা
কানতে কানতে কন্যার মার জীবন অর্ধেক যায়
প্রেম কর না ভাটির কন্যা যতই বাঁশি বাজায়।
ভাসে উজান ভাসে ভাটি কাঁদে মানুষ দিবারাতি
ভাবেনি দিন এমন হবে মরলেও পাবে না মাটি।