বাগমারা প্রতিনিধি:
বাগমারায় সাবেক এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়রসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলাবাগমারায় সাবেক এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়রসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলারাজশাহীর বাগমারায় সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ জাকিরুল ইসলাম সান্টু ও তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র খন্দকার সায়লা পারভিনসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ৫০/৬০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও দাঙ্গাহাঙ্গামার অভিযোগে বাগমারা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন আব্দুল মতিন নামের এক ব্যক্তি। তিনি উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের খাঁপুর গ্রামের বাসিন্দা।
শনিবার (১৭ আগস্ট) রাতে বাগমারা থানায় এই মামলা দায়ের করা হয়।
গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদত্যাগের পূর্বে উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় তৎকালীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ জাকিরুল ইসলাম সান্টু, ও তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র খন্দকার সায়লা পারভিন দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের উপর হামলা, বাড়িঘর ও দোকান পাট ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, হাট বাজারে বোমা ফাটিয়ে আতংক সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছে।
এছাড়াও আওয়ামী লীগের শাসনামলে উপজেলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ছাড়া করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপজেলার ভবানীগঞ্জ এলাকায় বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীদের মারপিট ও গুলি করে আহত করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগকারী আব্দুল মতিন বলেন, এমপি আবুল কালাম আজাদ ও গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সরকারের নির্দেশে আমাদের সহপাটি গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের রামরামা গ্রামের মুনসুর রহমান নামের যুবদল নেতাকে ভবানীগঞ্জ পৌরসভার চাঁনপাড়া এলাকায় পিটিয়ে আহত করার পর পায়ে গুলি করে চলে যায় যুবলীগের ক্যাডারা। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে ফিরেন তিনি। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, এ ঘটনায় মামলায় হয়েছে। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপরতা চালাচ্ছে।
মুক্তির ৭১ /নিউজ /সমিত রায়