নিউজ ডেস্ক:

ছাত্র আন্দোলন কখনোই পরাজিত হয়না আবার সেটা প্রমাণ করল এদেশের তরুণ ছাত্রসমাজ।

কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে রূপ নেওয়া এক দফার আন্দোলনে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন।

তার পদত্যাগে ছাত্র, সাধারণ জনতার মাঝে শুরু হয় গণ-উল্লাস। সারা দেশে বিশেষ করে রাজধানীতে বিজয় উল্লাস করতে দলে দলে নেমে আসে দেশের সব পেশার সাধারণ মানুষ।

গণমাধ্যমের সঙ্গে জড়িত মুক্তির ৭১ নিউজ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক মোহাম্মদ শাহিদ আজিজ অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এই বিজয়ের সাথে জড়িত সকল বীরদের।

মোহাম্মদ শাহিদ আজিজ বলেন, এই তরুণ প্রজন্মের ছাত্রদের অভিনন্দন জানাই, যাদের প্রাণের বিনিময়ে আমাদের বিজয় হলো, তাদের আত্মার শান্তি কামনা করি এবং এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই। ৫২, ’৬৯ ও ’৯০-এর মতো ’২৪ সালেও গণ-আন্দোলনেও নেতৃত্বে ছিল ছাত্ররা। ছাত্রদের আন্দোলন কখনোই পরাজিত হয়নি। এবারও ছাত্ররা সেটা প্রমাণ করে দেখিয়েছে।

মুক্তির ৭১ নিউজ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক মোহাম্মদ শাহিদ আজিজ এই আন্দোলনে নিহত আবু সাইদ ও মুগ্ধ এর প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

দুর্নীতিমুক্ত দেশ চেয়ে সম্পাদক আরো বলেন, এ দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পাশাপাশি দেশ যেন এই ধরনের সঙ্কটে কখনো পড়ে সেদিকে তরুণদের সজাগ থাকতে আহবান জানান। তিনি বলেন, আমরা একটি গণতান্ত্রিক সরকার দেখতে চাই যা হবে নিরপেক্ষ দুর্নীতিমুক্ত। যাদের মাধ্যমে আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ পাব।

মোহাম্মদ শাহিদ আজিজ পেশাগত কাজ করার জন্য তার সকল সাংবাদিককে ধন্যবাদ এবং আহতদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন। উল্লেখ গতকাল সোমবার (৫ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণভবন অভিমুখে যাত্রা ঘিরে উত্তেজনার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। বৈঠকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া ও রূপরেখা প্রণয়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

পদত্যাগের পর দুপুর আড়াইটার দিকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। তার সঙ্গে ছোট বোন শেখ রেহানাও ছিলেন। ভারত থেকে তিনি ইউরোপের কোনো দেশে বা লন্ডন যেতে পারেন বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে। তবে শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চেয়েছেন বলে খবর দিচ্ছে ভারতের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম কিন্তু যুক্তরাজ্য সরকার এখনো তাদের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি।