নিরাপত্তা চেয়ে প্রধান শিক্ষকের সংবাদ সম্মেলন


নিরাপত্তা চেয়ে প্রধান শিক্ষকের সংবাদ সম্মেলন

২০ জুন ২০২৪ ইং
দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুর প্রতিনিধি:



দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার মাদক ব্যবসায়ীকে মাদক চোরা চালান হতে বিরত ও বাঁধা-নিষেধ যেনো কাল হয়েছে, উপজেলার খামারপাড়া ইউনিয়নের বালাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহীদুল ইসলামের জীবনে নেমে এসেছে আতঙ্ক। 

 

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে খানসামা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত ও মৌখিক বক্তব্যে বলেন, আমি একজন শিক্ষক, ওই এলাকার হাবিবুর ও তার বন্ধু শাকিল দুজনে মাদক কারবারি। তারা দুজনে মাদক চোরা চালান করে থাকে। এতেআমাদের গ্রামসহ এলাকার যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করার কারণে আমিসহ গ্রামের আরো অনেক সচেতন ব্যাক্তিবর্গ মিলে তাদেরকে মাদক চোরা চালান হতে বিরত থাকার জন্য একাধিকবার বাঁধা-নিষেধ করি। 


যার প্রেক্ষিতে ক্ষিপ্ত হয়ে সে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিষ দিয়ে আমার পুকুরের মাছ নষ্ট করে। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডাইরি করি। উক্ত জিডির প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ হাবিবুরের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে একটি প্রসিকিউশন দাখিল করে। হাবিবুর উক্ত প্রসিকিউশনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালতে হাজিরা শেষে এলাকায় এসে আমাকে মারপিট এবং আমাকে খুন করবে মর্মে লোক মুখে বলে বেড়ায়। এরই প্রেক্ষিতে গত ১৫ জুন বিকেল সাড়ে চারটায় খামারপাড়া ইউনিয়নের বোর্ডের হাট বাজার সংলগ্ন গৌরি হরিশা মিলের চাতাল সংলগ্ন রাস্তায় হাবিবুর ও তার বন্ধু শাকিল আমাকে দেখতে পেয়ে পূর্বের বিষয়কে কেন্দ্র করে আমার রাস্তা রোধ করে অকথ্য ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। 


আমি প্রতিবাদ করায় তাদের হাতে থাকা চাকু আমার পেটে লাগিয়ে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের সঙ্গে থাকা লোকজন আমাকে পিছন থেকে জাপটে ধরে মাটিতে শোয়ায় এলোপাথারী ভাবে লাথি-গুড়ি মারতে থাকে। একপর্যায়ে হাবিবুর আমার গলা চিপে ও তার বন্ধু শাকিল আমার মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধ করতঃ হত্যার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে চাঁদা দিতে না চাইলে সে আমাকে খুন ও পরিবারের সদস্যদের জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে। 


আমি দ্রুত এই মাদক ব্যবসায়ীসহ তার বন্ধুকে আইনের আওতায় এনে বিচারের জোর দাবি জানাচ্ছি। কারণ আমিসহ আমার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। হাবিবুর ও শাকিল আমার ও আমার পরিবারের ক্ষতি করতে সর্বদাই তৎপর রয়েছে।


এ সময় উপস্থিত শিক্ষক নেতারা বলেন, সংবাদ সম্মেলনের পরে যদি কোন প্রতিকার না পাওয়া হয়, তাহলে মানববন্ধনসহ বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে আমরা কর্মবিরতি ঘোষনা করব। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ।

মুক্তির ৭১/নিউজ /আজিজার