নিশ্চয়ই বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু করা উচিত : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী


নিশ্চয়ই বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু করা উচিত : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

০২ জুন ২০২৪ ইং
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:



"বৈশ্বিক পুষ্টিতে দুগ্ধ অপরিহার্য " স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালন করে এনিম্যাল সাইন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডেইরি সাইন্স বিভাগ। নানা আয়োজনের শুরুতে অনুষদের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে এক র‍্যালির আয়োজন করা হয়। র‍্যালি শেষে শেখ রাসেল টিএসসি কমপ্লেক্সে দুগ্ধ দিবস উপলক্ষ্যে দুধ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুধ বিতরণ এবং একটি সেমিনার ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। 



উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান এমপি বলেন, দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে যে ভেটেরিনারি ও হাসবেন্ডারি ডিগ্রি জনিত সমস্যা, এগুলো আমার কাছে বাড়ির ভিতরে বাড়ি কিংবা মশারীর ভিতরে মশারি এই ধরনের সমস্যা বলে মনে হয়। কেননা এগুলো আমদের নিজেদের সমস্যা। তবে এক্ষেত্রে আমাদের সেরা সমাধান বেছে নেওয়া উচিত। যখন আমরা বিএসসি ভেট সাইন্স এন্ড এএইচ ডিগ্রি পড়লে একই সাথে ডাক্তারি অর্থাৎ ট্রিটমেন্ট রিলেটেড জ্ঞান অর্জন  করতে সক্ষম হচ্ছি এবং একই সাথে পশুপালন জনিত জ্ঞান অর্জনও করতে সক্ষম হচ্ছি। তাহলে আমরা আমাদের শিক্ষার্থী ও জাতির জন্য সর্বোত্তম সমাধান ভেটেরিনারি ও হাসবেন্ডারি কম্বাইন্ড ডিগ্রি কেন চালু করব না? নিশ্চয়ই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু হওয়া উচিত। এবিষয়ে আমরা চিন্তা করব। একই জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন ডিগ্রী অর্জন করে যে কাজটি করে সে কাজটি যদি একজন কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারী করতে পারে তাহলে কম্বাইন্ড ডিগ্রিতে আপত্তি টা কোথায় তা আমার বোধগম্য নয়। এছাড়াও বিএলআরআই তে কেন কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারীদের নাম আসে না তা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে খতিয়ে দেখা হবে। 


প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন,দেশের মানুষের দুধের ও পুষ্টির চাহিদা পূরণে দুধ উৎপাদন বাড়াতে হবে।তবে এক্ষেত্রে প্রান্তিক  খামারিদের দুধের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।অন্যথায় উৎপাদন বৃদ্ধি সহজতর হবে না। 



আলোচনা সভায় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছাড়াও এএসভিএম অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. কে বি এম সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্র, ময়মনসিংহ -৫ সংসদ সদস্য কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম এমপি , শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, উপ‌ উপাচার্য প্রফেসর ড. অলোক কুমার পাল, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম সহ অনুষদের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী বৃন্দ। অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্যের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শেকৃবির ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ আসাদুজ্জামান। 



বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. অলক কুমার পাল বলেন, সকল বয়সের, সকল মানুষের এবং সকল ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের প্রিয় খাদ্য দূধ। আমরা মৎসে এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ঠিক একই ভাবে আমাদের দুধেও স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। যে প্রবাদ টা আমরা ভুলে গিয়েছি তা যেন আবার বলতে পারি, "আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে"। 


উপাচার্যের বক্তব্যে প্রফেসর ড. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, প্রানিসম্পদের সকল ক্ষেত্রে উন্নতি সাধিত হচ্ছে। বর্তমান সরকারের নীতি সহায়তা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রম গ্র্যাজুয়েটদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে প্রাণিসম্পদের এই অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। আমাদের যারা গ্রাজুয়েট তারা কম্বাইন্ড ডিগ্রির অন্তর্ভুক্ত অর্থাৎ তারা চিকিৎসা বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করছে ব্যবস্থাপনা নিয়ে পড়ছে এবং সার্বিকভাবে টপগ্রেডের গ্রাজুয়েট হিসাবে তৈরি হচ্ছে কিন্তু বিএল‌আর‌আই এ আমাদের গ্রাজুয়েটরা পাশ করার পরেও কার্ড দেওয়া হচ্ছেনা। তবে মন্ত্রী মহাদয়কে বলার পর উনি বলেছেন উনি বিষয়টা দেখবেন। আশা করি কৃষির সকল সেক্টরে উন্নতির মধ্যমেই আমাদের সোনার বাংলা অর্জিত হবে। 


 উল্লেখ্য,বিশ্ব দুগ্ধ দিবস-২০২৪ কে কেন্দ্র ১০০ এতিম  শিশুকে  করে বিনামূল্যে দৈনিক ২৫০ মিলি দুধ খাওয়ানোর কার্যক্রম গ্রহন করা হয় এবং এই কার্যক্রম বছর ব্যাপি চলবে বলে উল্লেখ করা হয়। কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দের অর্থায়নে শেকৃবির এএসভিএম অনুষদ কর্তৃক এ উদ্যোগ গ্রহন করা হয়।

মুক্তির ৭১/নিউজ /আশরাফুল