বিশেষ প্রতিবেদক:
বৈষম্যহীন আন্দোলনে ৫ আগষ্ট এর পর, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর পরই সিলেটের গোয়াইনঘাটে চোরাচালানের সিন্ডিকেটে হাতবদল হয়েছে।এখন সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের আগে এ সিন্ডিকেটের একক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতেন গোয়াইনঘাট এর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাদের হাতে।
গোয়াইনঘাটের একাধিক চোরাকারবারিদের দেওয়া তথ্যমতে, ক্ষমতার পালাবদলের পর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে থেকে একটি চক্রের সংঙ্গে গোয়াইনঘাটে সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ নেন কামরুল, খায়রুল, হালিম, ফখরুল, বুলবুল, জসিম, হোসেন, ও জিয়া।ছাত্র দলের আরিফুল ইসলাম, ফরিদ, কামাল, হুসেন, সোলেমান,মোশাররফসহ তাদের সিন্ডিকেট। তাঁদের নেতৃত্বেই এখন সীমান্ত এলাকা থেকে চোরাচালান ব্যবসার চিনি,চা পাতা, কসমেটিক,কিট, শাড়ি, থ্রিপিস, লেহেঙ্গা, মদ, ফেনসিডিল,সহ বিভিন্ন পন্যে ট্রাক ও পিকাপে করে এনে নিরাপদে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হচ্ছে। এর বিনিময়ে গোয়াইনঘাট উপজেলার যুবদল ও ছাত্রদলের নেতারা মোটা অঙ্কের টাকা নিচ্ছেন।
সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলার গোয়াইনঘাট, উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের সীমান্ত, মধ্য জাফলং ইউনিয়নের সীমান্ত পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা সহ,ভারতীয় অবৈধ পণ্য সামগ্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করে, প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার চিনি, চা পাতা, কসমেটিক, কিট, শাড়ি, থ্রিপিস, লেহেঙ্গা, মদ, ফেনসিডিল,সহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পন্যে আসে। এসব চিনি তামাবিল-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক গোয়াইনঘাট কোম্পানীগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে নগরের পাইকারি বাজার কালীঘাটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। আগে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় তাঁদের অনুসারীরা পাহারা দিয়ে প্রতিদিন মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত চোরাই চিনি ও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মালামালের ট্রাক শহরে ঢোকাতেন। এখন এ কাজে হাতবদল ঘটেছে।
একাধিক চোরাকারবারির ভাষ্য, ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর কারবারিরা অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। চোরাচালানের হোতা ছাত্রলীগ নেতারাও আত্মগোপনে চলে যান। এ ছাড়া সীমান্ত এলাকায় নজরদারিও আগের চেয়ে বেড়েছে। এতে পাচার অনেকটা কমে যায়। তবে থেমে নেই চোরাচালান, আবার চিনি পাচার শুরু হয়েছে। এখন শহরে নির্বিঘ্নে চোরাই চিনির প্রবেশের পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছেন অসাধু কিছু ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে জানতে যুবদল নেতা কামরুলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আপনারা পারলে কিছু করেন,বলে হুংকার দিয়ে ফোন কেটে দেন।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ কে মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে ফোন রিসিভ করেননি।
মুক্তির ৭১/নিউজ / এম এইচ