রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ইং
  • প্রচ্ছদ

  • বাংলাদেশ

  • রাজনীতি

  • বিশ্ব

  • বাণিজ্য

  • মতামত

  • খেলা

  • বিনোদন

  • চাকরি

  • জীবনযাপন

  • শিক্ষা

  • প্রযুক্তি

  • গ্যাজেটস

  • সড়ক দুর্ঘটনা

  • ধর্ম

  • আইন আদালত

  • জাতীয়

  • নারী

  • সশস্ত্র বাহিনী

  • গণমাধ্যম

  • কৃষি

  • সাহিত্য পাতা

  • মুক্তিযুদ্ধ

  • আইন শৃঙ্খলা

  • আইন শৃঙ্খলা

  • মতামত

    উচ্চশিক্ষার মর্ম বুঝার সময় কি এখনো হয়নি ?

    নিজস্ব প্রতিবেদক থেকে
    প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং
          355
    ছবি: শিক্ষার্থীরা সার্টিফিকেট অর্জনের পর
      Print News



    নিজস্ব প্রতিবেদক:


    উচ্চশিক্ষার স্তর বলতে মূলত বুঝানো হয় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর অথবা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষাস্তরকে । এ স্তর থেকে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের পরিসমাপ্তি হয়। উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী জীবনে ব্যপক পরিবর্তন ঘটাতে পারে । সে তার আচার-আচরণ, কথাবার্তা, চলাফেরার এবং অন্যান্য কার্যকলাপের মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। 

    উচ্চশিক্ষার এ পর্যায়ে একজন শিক্ষার্থীর আগ্রহ থাকবে গবেষণায়, প্রাতিষ্ঠানিক ও বৈশ্বিক জ্ঞান অর্জন করা অথবা প্রথম পর্যায়ের কোন কর্মসংস্থানের চিন্তা, আবার এমনো হতে পারে নিজেকে কোন উদ্যোক্তা বানানোর মানসিকতা থাকবে। শিক্ষার্থীদের মান উন্নয়নে প্রতিবছর সরকার মোট বাজেটের নির্দিষ্ট অংশ  বরাদ্দ রাখে। চলতি অর্থবছরে সরকার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য ৩৯ হাজার ৯৬১ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ রাখে। তারপরেও শিক্ষার্থীরা কেন উচ্চশিক্ষায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। 

    বর্তমানে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা এসব বিষয়  খুবই অনিহা প্রকাশ করে। উচ্চশিক্ষার এ পর্যায়কে তারা বানিয়ে নিয়েছে বিনোদনের স্তর, সারাক্ষণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং অন্যান্য  অপ্রয়োজনীয় কাজে সময়ের অপব্যবহার করে। তাদের মাথায় কোন চিন্তা নেই, অথচ তারা জীবনের সর্বোচ্চ শিক্ষাস্তর অতিক্রম করছে। বর্তমানে উচ্চশিক্ষায় সবচেয়ে বেশি লক্ষনীয় সিনিয়র জুনিয়র মাতামাতি ও ছাত্র রাজনীতি। কিছু সিনিয়র শিক্ষার্থী মনে করে , তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা, আদব-কায়দা শিখানো নৈতিক দায়িত্ব।নবীন শিক্ষার্থীরা অবশ্যই তাদের শ্রদ্ধা ও সম্মান বজায় রাখবে সিনিয়র ভাইদের প্রতি। এসব মাতামাতিতে দেশের অর্থনীতি চলে যাচ্ছে বাহিরের দেশগুলোতে। দেশের মেগা প্রকল্পগুলো পরিচালনা করছে জাপান, চায়না, দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া ও ভারতের নাগরিকরা। আর তাদের ব্যয় বহন করতে হচ্ছে সরকারকে। আজ যদি আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা এসব মেগা প্রকল্পগুলো পরিচালনা করতো তাহলে দেশের অর্থনীতি আরো সমৃদ্ধ থাকতো। যাইহোক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মনে রাখা উচিৎ তাদর নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে এ দেশ। 

    উচ্চশিক্ষার এ মূল্যবান সময়গুলো যদি শিক্ষার্থীরা অবহেলায় কাটায় দিনশেষে তারাই হতাশায় দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলবে, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করলাম কিন্তু দেশে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান নেই। তারপর বেকারত্ব নামক বোঝা নিয়ে এইদিকে সেদিকে ছোটাছুটি করতে থাকবে। অবশেষে পথ বেছে নেবে নিজের বিরুদ্ধে ।

    যদি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় দক্ষতার সাথে নিজেদের সজ্জিত করতে পারে তাহলে একদিকে যেমন দেশের উৎপাদনশীলতা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে তরান্বিত করার সুযোগ হবে, অপরদিকে শিক্ষার্থীদের জীবনের লক্ষ্যে পৌছানো  সহজ হবে। সময়ের সঠিক ব্যবহার সাফল্যের চাবিকাঠি।

    মোঃ হাছান

    শিক্ষার্থীঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ

    যোগাযোগঃ  mdhassands@gmail.com

    আপনার মন্তব্য লিখুন
    Total Visitors : 488552

    সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ শাহিদ আজিজ

            ৪৪৮ বাউনিয়া,তুরাগ,ওয়ার্ড নং ৫২

            ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ঢাকা থেকে প্রচারিত এবং প্রকাশিত।

            যোগাযোগ -০১৭৯৫২৫২১৪২

            ইমেইল -shahidazizmoonna@gmail.com