মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং
  • প্রচ্ছদ

  • বাংলাদেশ

  • রাজনীতি

  • বিশ্ব

  • বাণিজ্য

  • মতামত

  • খেলা

  • বিনোদন

  • চাকরি

  • জীবনযাপন

  • শিক্ষা

  • প্রযুক্তি

  • গ্যাজেটস

  • সড়ক দুর্ঘটনা

  • ধর্ম

  • আইন আদালত

  • জাতীয়

  • নারী

  • সশস্ত্র বাহিনী

  • গণমাধ্যম

  • কৃষি

  • সাহিত্য পাতা

  • মুক্তিযুদ্ধ

  • আইন শৃঙ্খলা

  • আইন শৃঙ্খলা

  • বাংলাদেশ

    তিন ঘণ্টা আটকে রেখে জবি ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ

    জবি প্রতিনিধি থেকে
    প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৩ ইং
          175
    ছবি: বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ছাত্রী
      Print News



    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:


    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হলে এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে তিন ঘন্টা আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে একই হলের একাধিক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। হলের আবাসিক শিক্ষকের উপস্থিতিতেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলা জানা গেছে।


    মঙ্গলবার (১৬ মে) রাত ৯ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের  বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ১২০৩ নম্বর কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।


    নির্যাতনের শিকার ঐ শিক্ষার্থীর নাম হাফসা বিনতে নূর। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।


    অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী তন্বী, ইশিতা, ফাল্গুনী আক্তার, নিনজা শিকদার , ইরা ও নাজমুন নাহার স্বর্ণা পাটোয়ারী। অভিযুক্ত এসব শিক্ষার্থী সবাই প্রত্যক্ষভাবে শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। 


    এ ঘটনার পর বুধবার (১৭ মে) হল প্রভোস্টের মাধ্যমে উপাচার্য বরাবর অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী।


    উপাচার্যকে দেওয়া অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, হলের নিজেদের কক্ষের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভুক্তভোগী হাফসা বিনতে নূরের সাথে জুনিয়র রুমমেট রেবেকা খাতুনের সাথে কথার কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রেবেকা খাতুন হলের অন্য কক্ষের আবাসিক ছাত্রীদের নিয়ে এসে রুম আটকে হাফসাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন ও হেনস্তা করে। প্রায় তিন ঘন্টা যাবৎ নির্যাতনের পর হাফসা বিনতে নূর অজ্ঞান হয়ে যায়। 


    নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাশের কক্ষের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, আমার পাশের রুম হওয়ায় আমি এসে হাফসাকে রুম থেকে বের করে নিয়ে যেতে চেয়েছি। কিন্তু রেবেকা, নিনজা, ফাল্গুনী সহ সকলে তাকে ঘেরাও দিয়ে ধরে যেন সে আসতে না পারে। এক পর্যায়ে সে মোবাইল নিতে গেলেও তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।


    এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হাফসা বলেন, আমাদের রুমের রেবেকা খাতুনের সাথে রুম পরিস্কার করা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে সে হলের অন্য রুমের ৭ থেকে ৮ জন মেয়েকে নিয়ে আমাদের রুমে এসে আমাকে শারীরিক মানসিক ভাবে লাঞ্চিত ও মারধর করেছে। তারা সকলে মিলে রাত সাড়ে আটটা থেকে রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত আমার উপর এ মানসিক নিপীড়ন চালায়। নিনজা শিকদার নামের এক মেয়ে এ পুরো ঘটনা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। আমাদের সহকারী হাউজ টিউটর মানসুরা বেগম আসার পরও তারা থামেনি। এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। শুধু তাই নয় এই রেবেকার কর্মকাণ্ডে আমাদের অন্যান্য রুমমেটরাও শারীরিক ও মানসিক ভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছে।


    এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্তদের একজন নাজমুন নাহার স্বর্ণা পাটোয়ারী বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর আমি ম্যামকে সাথে নিয়ে ওদের রুমে যাই। আমি গিয়ে ওদের শান্ত করার চেষ্টা করি। কিন্তু হাফসা আপুকে মারধরের বিষয় আমি কিছু জানি না। একপর্যায়ে আমি ওদের রুমে ম্যামকে রেখে নিচে চলে আসি। আমি আসার পরে নাকি হাফসা আপু আমাদের ছাত্রলীগের মেয়েদের গাঁয়ে হাত দিয়েছে।


    ঘটনার সময় ওখানে উপস্থিত হলের সহকারী হাউজ টিউটর মানসুরা বেগম বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনার জেরে আবেগের বশবর্তী হয়ে এ কলহের সূত্রপাত ঘটেছে। অবস্থা বেগতিক জেনে আমি সেখানে উপস্থিত হই। আমি যাওয়ার পরও তারা আক্রমণাত্বক ছিল। হাফসাকে তারা রুমের বাইরে যেতে ও ফোনটাও ধরতে দিচ্ছিলো না। মূলত অন্য রুমের মেয়েদের নিয়ে আসার কারণেই এ ঘটনা এতদূর পর্যন্ত গড়িয়েছে। আমি সকলকে বোঝানোর চেষ্টা করার পরও তারা আমার সামনে বসেই আরো উত্তেজিত হয়ে ওঠে। 


    এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রাণী সরকার বলেন,  ‘বেশ কিছুদিন ধরে হলে এমন ঘটনা ঘটছে। এধরণের  ঘটনায় আমি শঙ্কিত। আজ অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা আলোচনায় বসেছি। তারপর দু-পক্ষকে ডেকে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি। এরপর থেকে যদি কেউ এরকম কাজের সাথে জড়িত হয় তাহলে তাদের সিট বাতিল হবে।’

    আপনার মন্তব্য লিখুন
    Total Visitors : 477522

    সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ শাহিদ আজিজ

            ৪৪৮ বাউনিয়া,তুরাগ,ওয়ার্ড নং ৫২

            ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ঢাকা থেকে প্রচারিত এবং প্রকাশিত।

            যোগাযোগ -০১৭৯৫২৫২১৪২

            ইমেইল -shahidazizmoonna@gmail.com