বিশেষ প্রতিনিধিঃ
নলুয়া বাছেত খান উচ্চ বিদ্যালয়ের বিগত ২৬.০৮.১৯৯০ সালে নিয়োগকৃত সহকারী শিক্ষক শামীম আল মামুন (ইনডেক্স নম্বর- ডি ২৪২৫০৪) সম্পত্তির মোহে বিভোর হয়ে, গ্রীষ্মের তাপাদহে পাগলের প্রলাপ করছেন।
তিনি, তার স্টাফদের সাথে অসদাচরন করার পাশাপাশি, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জনাব মফিজুল ইসলামের সাথেও অসৌজন্যমূলক আচরন করেছেন। ঘনিষ্ঠ সুত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নলুয়া বাছেত খান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব তোফাজ্জল হোসেন জানান, বিগত ২৪.০৫.২০২১ ইং তারিখে, উনি আমার কাছ থেকে একটি প্রত্যয়ন পত্র নিয়েছেন। তবে উনার বিরুদ্ধে শৃঙ্ক্ষলা পরিপন্থী আচরনের কারনে ম্যানিজিং কমিটি কর্তৃক রেজুলেশন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় কর্তৃক শোকজের ঘটনা ডকুমেন্টারি বা অফিসিয়ালি সত্য।
সরোয়ার আলম বলেন, বিগত ১০ বৎসরে উনার সাথে আমার সর্বসাকুল্যে পাঁচ বার দেখা হয় নি। শিক্ষা জীবনে ১৪ বৎসর ঢাকায় থাকতে হয়েছে। ইচ্ছে থাকলেও উনাকে বাবা বলে ডাকার সুযোগ পাইনি। তিনি আমার শিক্ষক, তাই তার দেয়া এসএসসি পরীক্ষার একমাত্র উপহার একটি রেডলিফ কলম এখনো খুব যত্নে রেখে দিয়েছি।
সরোয়ার আলম আরও বলেন- উনি আমার নামে যে চাদাঁবাজি মামলা দিয়েছিলেন, সেখানে আমার চাচা লিখিত ভাবে উল্লেখ করেছেন- তিনি বিভিন্ন রোগের কারনে অসুস্থ।
আমি মনে করি, তিনি আসলেই অসুস্হ।
শামছুল আলম বলেন, আমি বহুরিয়া চতলবাইদ মৌজাস্হ ভুমি রেজিঃ দলিল মূলে- ০৩.০৬.৮৭ ইং তারিখে ৩১২৯ নং দলিলে ৫৩.৫ শতাংশ, ১২.০২.৯২ ইং তারিখের ৮৬৭ দলিলে ৬০ শতাংশ, ৩.৫.৯৭ ইং তারিখে ২২৬৩ নং দলিলে ২৩.৫ শতাংশ, ২৭.০২.২০০০ ইং তারিখের ১১৪৬ নং দলিলে ২৮ শতাংশ এবং ১০.১২.২০১৮ ইং তারিখের ৩৬৯৫ নং দলিলে ১৫ সতাংশ, একোনে ১৮০ শতাংশ ভূমির মালিকানাধীন অবস্হায় - নিউজে উল্লেখিত ১৪৩ শতাংশ প্রদান করি। এক জমি তিনবার বিক্রি করার উক্তি মিথ্যা, বানোয়াট এবং অসুস্হ মন্তব্যের বহিঃ প্রকাশ।
উল্লেখ্য যে, আমার ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম ০৩.০৫.৯৭ ইং তারিখে ২২৬৩ নং সাব-রেজিঃ দলিল মূলে আমার নিকট সাড়ে ২৩.৫ শতাংশ ভূমি বিক্রি করলেও, অদ্যবদি আমাকে ভুমি বুঝিয়ে দেয় নি।
শামছুল আলম আরও বলেন, আমি শামীম আল মামুন কে মোট ছয় দাগের ৩০ শতাংশ ভূমি দান করি। ২৪৯৩ নং দাগেন ১৭ শতাংশ, ২৪৭৮ নং দাগে ৫ শতাংশ একোনে ৩০ শতাংশ দানকৃত ভুমি ভোগদখল থাকা অবস্হায়, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক নলুয়া বাজার শাখায় আমাদের বন্ধককৃত ২৪৭৯নং দাগের ১২ শতাংশ ভূমি সে জবর দখল করিয়াছে।সে নিজেই মামলা করে, নিজেই জায়গা বেদখল করে বসে আছে। সে হয়রানি হয় কিভাবে আমার বোধগম্য নয়!
তিনি আরও যোগ করে বলেন,আমি কেমন মানুষ তা ৮নং বহুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহোদয়, এবং উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় তাদের প্রদত্ত প্রত্যয়ন পত্রে উল্লেখ করেছেন।
তার ব্যাবহারে রবীন্দ্রনাথের "তিন বিঘা জমি" কবিতা মনে পড়ে গেলো!
"আমি শুনে হাসি, আঁখি জলে ভাসি।
তুমি মহারাজ, সাধু হলে আজ।
আমি আজ চোর বটে"।
আমার পরিবারের মান হানির অসৎ উদ্দেশ্যে জনতার কন্ঠ নামক স্হানীয় পোর্টালের ২৪.০৫.২০২১ ইং তারিখে পরিবেশনকৃত "সখীপুরের শিক্ষক শামীম আল মামুনের বিরুদ্ধে তার ভাই এবং ভাতিজার বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে হয়রানির অভিযোগ" শিরোনামে- সংবাদের প্রতিবাদ জানাই।